কক্সবাজারে থাকা ২৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফরে ‘ঘুর্ণিঝড় তিতলির প্রস্তুতি’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
‘তিতলি’ নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে মায়া বলেন, ‘তিতলির আঘাতের আশঙ্কা এখনও কাটেনি। এটি মোকাবেলার অংশ হিসেবে উপকূলীয় ১৯ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা এ দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছি।’
ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের কবে নেওয়া হবে তা জানাননি মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মায়া বলেন, ‘এখনও ঠিক হয়নি। তবে সব প্রস্তুত রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যেদিন বলবেন, সেদিনই নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছরের আগস্ট থেকে এপর্যন্ত প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। দেশি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ায় তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ‘আশ্রয়ন-৩ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে দুই হাজার ৩১২ কেটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
/এসএমএ/এমএ/